কপোতাক্ষ নদের খনন কাজ এসএম্যাপ অনুসারে বাস্তবায়নের পরিবর্তে এমন ভাবে
করা হচ্ছে যে তাতে বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষ তাদের ভিটামাটি হারাতে বসেছে।
ইতোপূর্বে নদী ভাঙ্গন ও পূণর্গঠনের কারণে মৌজার সীমানা নিয়ে নানা জটিলতা
সৃষ্টি হয়েছে।
কপোতাক্ষ নদের পাইকগাছা অংশের
দেয়াড়া-রহিমপুর-উলুডাঙ্গা পয়েন্টে ইতোপূর্বে ভাঙ্গনের ফলে রহিমপুর গ্রামটি
একেবারে নিশ্চিহৃ হয়েছিল, দেয়াড়া উলুডাঙ্গার অবস্থাও বর্তমানে তাই।
কপোতাক্ষে পলি ভরাটের কারণে ইতোপূর্বে
ভাঙ্গন কবলিত গ্রামগুলো নতুন করে জেগেছে, হতদরিদ্র মানুষ তাদের জমি ফিরে
পেয়েছে। তারা পুরনো গ্রামে ফিরে যাওয়ার স্বপ্ন দেখছে।
আমরা দেয়াড়া-রহিমপুর-উলুডাঙ্গাবাসী সহ খুলনা জেলার পাইকগাছা উপজেলার
হরিঢালী ইউনিয়নের সংশ্লিষ্ট মৌজার মানুষ লক্ষ্য করেছি কপোতাক্ষ খনন কাজ
আমাদের রেকর্ডীয় জমির উপর দিয়ে সম্পন্ন করার প্রক্রিয়া চলছে। যে নকশা বরাবর
নদী খনন চলছে তাতে আমরা আমাদের ভিটেমাটি হারাবো, আমাদেরকে আবারও পথে বসতে
হবে।
মঙ্গলবার বিকাল ৫টায় দেয়াড়া, রহিমপুর, উলুডাঙ্গাও হরিদাশকাটী
গ্রামবাসীর উদ্যোগে আয়োজিত পাইকগাছার কপিলমুনি বাজারের প্রধান সড়কে
মানববন্দন ও পথসভায় বক্তারা উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
কপিলমুনি বণিক
সমিতির সাবেক সভাপতি নির্মল মজুমদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত পথসভায় বক্তব্য
রাখেন, কপিলমুনি প্রেসক্লাবের সভাপতি শেখ সালাম, প্রেসক্লাবের সাধারণ
সম্পাদক মুন্সি রেজাউল করিম মহবক্ষত, প্রেসক্লাব কপিলমুনি’র সাঃ সম্পাদক
পলাশ কর্মকার, যুবলীগ নেতা আঃ রাজ্জাক রাজু, মুজিবর রহমান ফকির প্রমুখ।