Monday, May 27, 2013

পাইকগাছায় বিপাকে তরমুজ চাষীরা

পাইকগাছায় চলতি মৌসুমে বাম্পার ফলন হলেও ঘন ঘন হরতাল, অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত, বিক্রয়মূল্য কম ও চাহিদা না থাকায় বিপাকে পড়েছে তরমুজ চাষীরা। সম্প্রতি ‘ঘুর্ণিঝড়ের প্রভাব ও অতিরিক্ত বৃষ্টিপাতে পানি জমে প্রায় ৩০ শতাংশ তরমুজ নষ্ঠ হয়েছে বলে চাষীরা জানান।

সুত্রমতে, উপজেলার দেলুটি ও গড়ইখালীতে ১৮৫ হেক্টর জমিতে ভিক্টর সুপার, ওয়াল্ড পেইন, চাইনিজ হাইব্রিড ও ওয়াল্ড কুইনসহ কয়েকটি উন্নত জাতের তরমুজের আবাদ হয়েছে। বাম্পার ফলন হলেও মৌসুমের শেষদিকে এসে ঘন ঘন হরতাল, অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত ও বাজারে চাহিদা না থাকায় তরমুজ নিয়ে বিপাকে পড়েছে ৪ শতাধিক কৃষক।

দেলুটি ২২ নং পোল্ডারের কৃষক তারাপদ মন্ডল জানান চলতি বছর তিনি ৮ বিঘা জমিতে তরমুজের আবাদ করছেন হেক্টর প্রতি ৪৫ টন উৎপাদন হলেও ঘন ঘন হরতালের কারনে বিগত বছরের তুলনায় পাইকারী ক্রেতা কম থাকায় সময়মত তরমুজ বিক্রি করতে পারেনি। অপরদিকে সম্প্রতি ঘুর্নিঝড়ের প্রভাব ও অতিরিক্ত বৃষ্টিপাতের ফলে প্রায় ৩০ শতাংশ তরমুজ ক্ষেতে নষ্ঠ হয়ে যাচ্ছে।

পাটনিখালী গ্রামের তোফাজ্জেল ঢালী জানান অতিরিক্ত বৃষ্টিপাতের ফলে স্থানীয় বাজারে চাহিদা কমে যাওয়ায় তরমুজ এখন গবাদি পশুর খাদ্য হিসাবে ব্যবহৃত হচ্ছে। চলতি বছর প্রত্যেকটি তরমুজ চাষীকে চরম লোকসান দিতে হবে বলে তিনি জানান। খুচরা ব্যবসায়ী পরিমল জানান বিগত বছরের তুলনায় কেজি প্রতি ৫ টাকা কমে বিক্রি করা হলেও তেমন কোন ক্রেতা নেইবলে তিনি জানান। উপজেলা কৃষি অফিসার বিভাষ চন্দ্র সাহা জানান-গরমের সময় তরমুজের চাহিদা একটু বেশি থাকে, চলতি বছর অতিরিক্ত বৃষ্টিপাতের ফলে চাহিদা কমে যাওয়ার কারনে বাজার মূল্য কম হওয়ায় অন্যতম কারন বলে তিনি জানান। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ১০ হেক্টর জমির তরমুজ ফসল নষ্ঠ হয়েছে বলে তিনি জানান।