পাইকগাছায় চলতি মৌসুমে বাম্পার ফলন হলেও ঘন ঘন
হরতাল, অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত, বিক্রয়মূল্য কম ও চাহিদা না থাকায় বিপাকে পড়েছে
তরমুজ চাষীরা। সম্প্রতি ‘ঘুর্ণিঝড়ের প্রভাব ও অতিরিক্ত বৃষ্টিপাতে পানি
জমে প্রায় ৩০ শতাংশ তরমুজ নষ্ঠ হয়েছে বলে চাষীরা জানান।
সুত্রমতে, উপজেলার দেলুটি ও গড়ইখালীতে ১৮৫ হেক্টর জমিতে ভিক্টর সুপার, ওয়াল্ড পেইন, চাইনিজ হাইব্রিড ও ওয়াল্ড কুইনসহ কয়েকটি উন্নত জাতের তরমুজের আবাদ হয়েছে। বাম্পার ফলন হলেও মৌসুমের শেষদিকে এসে ঘন ঘন হরতাল, অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত ও বাজারে চাহিদা না থাকায় তরমুজ নিয়ে বিপাকে পড়েছে ৪ শতাধিক কৃষক।
সুত্রমতে, উপজেলার দেলুটি ও গড়ইখালীতে ১৮৫ হেক্টর জমিতে ভিক্টর সুপার, ওয়াল্ড পেইন, চাইনিজ হাইব্রিড ও ওয়াল্ড কুইনসহ কয়েকটি উন্নত জাতের তরমুজের আবাদ হয়েছে। বাম্পার ফলন হলেও মৌসুমের শেষদিকে এসে ঘন ঘন হরতাল, অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত ও বাজারে চাহিদা না থাকায় তরমুজ নিয়ে বিপাকে পড়েছে ৪ শতাধিক কৃষক।

পাটনিখালী গ্রামের তোফাজ্জেল ঢালী জানান অতিরিক্ত বৃষ্টিপাতের ফলে স্থানীয় বাজারে চাহিদা কমে যাওয়ায় তরমুজ এখন গবাদি পশুর খাদ্য হিসাবে ব্যবহৃত হচ্ছে। চলতি বছর প্রত্যেকটি তরমুজ চাষীকে চরম লোকসান দিতে হবে বলে তিনি জানান। খুচরা ব্যবসায়ী পরিমল জানান বিগত বছরের তুলনায় কেজি প্রতি ৫ টাকা কমে বিক্রি করা হলেও তেমন কোন ক্রেতা নেইবলে তিনি জানান। উপজেলা কৃষি অফিসার বিভাষ চন্দ্র সাহা জানান-গরমের সময় তরমুজের চাহিদা একটু বেশি থাকে, চলতি বছর অতিরিক্ত বৃষ্টিপাতের ফলে চাহিদা কমে যাওয়ার কারনে বাজার মূল্য কম হওয়ায় অন্যতম কারন বলে তিনি জানান। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ১০ হেক্টর জমির তরমুজ ফসল নষ্ঠ হয়েছে বলে তিনি জানান।