মাধবদীর পার্শ্ববর্তী কাজিরচর এলাকার এমএ ব্রিকফিল্ড থেকে উদ্ধার হওয়া ১৪
নারী ও শিশু শ্রমিকের ২২ দিন ধরে কাজ না থাকায় ভাড়া বাসায় থেকে মানবেতর
জীবনযাপন করছেন। কেউ তাদের কাজ দিচ্ছে না।
জানা যায়, প্রায় ১ মাস আটক রেখে উলি্লখিত নারীও শিশু শ্রমিককে পারিশ্রমিক না দিয়ে নির্যাতন করে আসছিল। এমতাবস্থায় তাদের একজন গোপনে পালিয়ে গিয়ে জেলা প্রশাসনে অভিযোগ করলে গত ২২ মার্চ রাত সাড়ে ৮টায় ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালিয়ে এক শিশুসহ ১৪ নারী শ্রমিককে উদ্ধার করেন।
উদ্ধারকৃত শ্রমিকদের সবার বাড়ি খুলনার পাইকগাছা উপজেলায়। তারা হলেন ওই উপজেলার শান্তা গ্রামের ইকবাল শেখের স্ত্রী শিউলী আকতার (২২) ও তার মেয়ে মেয়ে খাদিজা (৪), সোহেল মিয়ার স্ত্রী আয়েশা আক্তার (২০) ও তার ছেলে সাজ্জাদ মিয়া (৪), ইসহাক মিয়া (৩৫) ও তার স্ত্রী জরিনা বেগম(২৭) এবং তাদের দু'ছেলে হাসান (৭) ও হোসাইন (২), শুকুর আলী (৩৫), ইয়াছিন (২৫), রাকিব মিয়া (২২) এবং গড়ইখালী গ্রামের নাইম মিয়া (৩৪) ও তার স্ত্রী মনিরা বেগম (২৫)।
উদ্ধার হওয়া শিউলী আক্তার বলেন, ইট ভাটায় রাতের বেলায় তালাবদ্ধ ও দিনের বেলায় পাহারা দিয়ে রাখা হতো। সপ্তাহের ৩ দিন কিছু চাল আর কিছু সবজি দেয়া হতো আর বাকি তিন দিন উপোস করতে হয়েছে। গত ২০ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় ইকবাল ও সোহেল নামে দু'জন শ্রমিক পালিয়ে যাওয়ার পর রাতে মুছা, মকবুল ও আরেকজন আমাদের ঘরে ঢুকে আমার ননদ আয়েশা আক্তারকে মারধর ও নির্যাতন করে। ইট ভাটার মালিকের অভিযোগ ছিল শ্রমিক সর্দার তাদের কাছ থেকে অগ্রিম টাকা নিয়েছিল আর তাই তাদের সঙ্গে এ আচরণ করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উদ্ধার হওয়া শ্রকিরা এখনও কোথাও কাজ পাননি আর তাই পাঁচদোনায় ভাড়াটে বাসায় থেকে শিশু সন্তানদের নিয়ে খেয়ে না খেয়ে মারাত্মক কষ্টে দিন যাপন করছেন। ইট ভাটার কাজ শিখেছে অন্যকাজে অভিজ্ঞতা না থাকায় কোন কাজ করতে পারছে না। এ অবস্থায় বাড়িতে চলে গিয়েও সংসার চালানোর মতো অবস্থা না থাকায় উভয় সংকটে কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন তারা।
জানা যায়, প্রায় ১ মাস আটক রেখে উলি্লখিত নারীও শিশু শ্রমিককে পারিশ্রমিক না দিয়ে নির্যাতন করে আসছিল। এমতাবস্থায় তাদের একজন গোপনে পালিয়ে গিয়ে জেলা প্রশাসনে অভিযোগ করলে গত ২২ মার্চ রাত সাড়ে ৮টায় ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালিয়ে এক শিশুসহ ১৪ নারী শ্রমিককে উদ্ধার করেন।
উদ্ধারকৃত শ্রমিকদের সবার বাড়ি খুলনার পাইকগাছা উপজেলায়। তারা হলেন ওই উপজেলার শান্তা গ্রামের ইকবাল শেখের স্ত্রী শিউলী আকতার (২২) ও তার মেয়ে মেয়ে খাদিজা (৪), সোহেল মিয়ার স্ত্রী আয়েশা আক্তার (২০) ও তার ছেলে সাজ্জাদ মিয়া (৪), ইসহাক মিয়া (৩৫) ও তার স্ত্রী জরিনা বেগম(২৭) এবং তাদের দু'ছেলে হাসান (৭) ও হোসাইন (২), শুকুর আলী (৩৫), ইয়াছিন (২৫), রাকিব মিয়া (২২) এবং গড়ইখালী গ্রামের নাইম মিয়া (৩৪) ও তার স্ত্রী মনিরা বেগম (২৫)।
উদ্ধার হওয়া শিউলী আক্তার বলেন, ইট ভাটায় রাতের বেলায় তালাবদ্ধ ও দিনের বেলায় পাহারা দিয়ে রাখা হতো। সপ্তাহের ৩ দিন কিছু চাল আর কিছু সবজি দেয়া হতো আর বাকি তিন দিন উপোস করতে হয়েছে। গত ২০ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় ইকবাল ও সোহেল নামে দু'জন শ্রমিক পালিয়ে যাওয়ার পর রাতে মুছা, মকবুল ও আরেকজন আমাদের ঘরে ঢুকে আমার ননদ আয়েশা আক্তারকে মারধর ও নির্যাতন করে। ইট ভাটার মালিকের অভিযোগ ছিল শ্রমিক সর্দার তাদের কাছ থেকে অগ্রিম টাকা নিয়েছিল আর তাই তাদের সঙ্গে এ আচরণ করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উদ্ধার হওয়া শ্রকিরা এখনও কোথাও কাজ পাননি আর তাই পাঁচদোনায় ভাড়াটে বাসায় থেকে শিশু সন্তানদের নিয়ে খেয়ে না খেয়ে মারাত্মক কষ্টে দিন যাপন করছেন। ইট ভাটার কাজ শিখেছে অন্যকাজে অভিজ্ঞতা না থাকায় কোন কাজ করতে পারছে না। এ অবস্থায় বাড়িতে চলে গিয়েও সংসার চালানোর মতো অবস্থা না থাকায় উভয় সংকটে কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন তারা।