Sunday, March 30, 2014

ক্রেতারা সাবধান ! পাইকগাছায় হরিণের মাংসের নামে বিক্রি হচ্ছে ভেড়া ও গরুর মাংস

পাইকগাছায় সক্রিয় প্রতারক চক্র অভিনব পন্থায় কচি গরু ও ভেড়ার মাংসকে হরিণের মাংস সাজিয়ে চড়া দামে বিক্রি করছে। এক সময় উপজেলার গড়ইখালী ও তার আশপাশ এলাকায় এ ধরনের প্রতারণার ঘটনা শোনা গেলেও বিষয়টি এখন খোদ পৌর শহরেও “ওপেন সিক্রেট”।

গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডস্থ সরল গ্রামের নূর ইসলামের বাড়িতে দু’টি হরিণ জবাই করে মাংস বিক্রি হচ্ছে এমন খবর চাউর হলে থানা পুলিশ নূর ইসলামের বাড়িতে অভিযান চালায়।

এর সপ্তাহ দুই আগে একই এলাকার ইমরান নামের এক যুবক ঢাকাগামী পরিবহনে হরিণের মাংস পাচার করছে এমন অভিযোগ পেয়ে থানা পুলিশ সেখানে উপস্থিত হয়ে কিছু মাংস উদ্ধার করে ও পুলিশ আসার আগেই কিছু মাংস লোপাট হয়ে যায়। পরে উদ্ধারকৃত মাংস গরুর মাংস বলে জানা যায়।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পৌরসভাসহ উপজেলার বিভিন্ন এলাকার প্রতারক চক্র হরিণের নকল মাংস উচ্চমূল্যে বিক্রি করছে। প্রতারক চক্র নকল হরিণের মাংস বানানোর ক্ষেত্রে প্রথমেই কচি গরু ও ভেড়াকে বেছে নিচ্ছে।

তারা গরু বা ভেড়া জবাই করে হাড় ফেলে দিয়ে ফিটকারীর পানিতে ‘সলিড মাংস’ ডুবিয়ে রাখছে। পরে তেঁতুল ও কেওড়া গোলা পানিতে ওই মাংস আধা ঘন্টা ভিজিয়ে ঝুড়িতে রেখে পানি ঝরিয়ে নিচ্ছে। অতঃপর ওই গরু বা ভেড়ার রক্ত হালকা করে ওই মাংসে মাখাচ্ছে। ব্যস, গরু- ভেড়ার মাংস হয়ে গেল হরিণের মাংস।

আর ক্রেতার আস্থা আনতেও প্রয়োগ করা হচ্ছে অভিনব কৌশল। ভেড়ার আস্ত রান কেটে তার একপাশের রক্তপানি ভাল করে মুছে কাটা ওই রানের সাইজে হরিণের চামড়া কেটে তা’ তুঁতে মেশানো পানি দিয়ে ভিজিয়ে ভাল করে মুছে “সুপার গ্লু” আঠা দিয়ে আস্ত রানে জুড়ে দিয়ে ভেড়ার রানকে হরিনের রানের আদলে তৈরী করা হচ্ছে।

ক্রেতাদের বলা হচ্ছে “এই হল হরিণের কাটা রান। এই মাংসই রয়েছে ঝুড়িতে।” প্রতারক চক্র এভাবে প্রমাণ হাজির করায় ওই মাংস ৪০০-৫০০ টাকা কেজি দরে লুফে নিচ্ছে সাধারণ মানুষ।