সড়ক ও জনপদ বিভাগের (সওজ) কয়রা-বেতগ্রাম সড়কটির বেহাল দশায় এ অঞ্চলের কয়েক
লাখ মানুষকে দীর্ঘদিন ধরে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। সড়কটির ৬০
কিলোমিটারের মধ্যে ৫০ কিলোমিটারই এখন যান চলাচলের অনুপযোগী। তবুও জীবনের ঝুঁকি
নিয়ে তিন ঘন্টার এ যাত্রা পথে ৭-৮ ঘন্টা সময় ব্যয় করে পন্যবাহী ও
যাত্রীবাহী কিছু যানবাহন চলাচল করছে সড়কটিতে। এতে প্রতিনিয়তই ঘটছে ছোট বড়
দুর্ঘটনা।
সড়ক ও জনপদ বিভাগ খুলনা কার্যালয় সুত্রে জানা যায়,
খুলনা-সাতক্ষিরা মহাসড়কের বেতগ্রাম নামক স্থান থেকে তালা ও পাইকগাছা উপজেলা
হয়ে কয়রা উপজেলা পর্যন্ত ৬৫ কিলোমিটার সড়কের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ অবস্থা
তালা থেকে মাহমুদকাটি পর্যন্ত ২৫ কিলোমিটার সড়ক। বর্ষার সময় সড়কের পাশে
কপোতাক্ষ নদীর পানি উপচে জনচলাচল ব্যহত হয়। এ জন্য সড়কের এসব স্থান উচু
করনের কাজ চলমান রয়েছে।
সরেজমিন দেখা গেছে, বর্তমানে সড়কটির কয়রা সদর থেকে চাঁদআলী সেতু পর্যন্ত ১৩ কিলোমিটার বড় বড় খানাখন্দে ভরা। চাঁদআলী সেতু থেকে পাইকগাছা উপজেলার শিবসা সেতু পর্যন্ত ১০ কিলোমিটার রাস্তা কোন রকম চলাচল করা গেলেও পাইকগাছা থেকে তালা উপজেলা হয়ে বেতগ্রাম পর্যন্ত ২৭ কিলোমিটার সড়কের ভগ্ন দশায় প্রতিনিয়তই মৃত্যুঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে মানুষ। স্থানীয় জনসাধারন অভিযোগ করেন, প্রতি বছর সড়কটি উন্নয়নের নামে জনপ্রতিনিধিদের প্রতিশ্রুতিই শোনা যায়। উন্নয়ন কাজ হয় না।
খুলনা বিভাগীয় বাস-মিনিবাস মালিক সমিতির পাইকগাছা লাইন সেক্রেটারি শেখ জাহিদুল ইসলাম বলেন, দীর্ঘদিন ধরে এ সড়কটির উন্নয়ন কাজ ঝুলে থাকায় চরম ভোগান্তি নিয়ে গাড়ি চালাতে হচ্ছে। বিশেষ করে বর্ষা মৌসুম শুরু হলে এ সড়কটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। বর্ষা শুরু হলে বেশ কিছু দিন সড়কে সকল প্রকার যান বাহন চলাচল বন্ধ ছিল। ঈদের কারনে চলাচল স্বাভাবিক রাখতে কর্তৃপক্ষ কিছু স্থানে খোয়া বালি ফেলে সংস্কার করায় গাড়ি চলাচল আবার শুরু হয়েছে। তবে দু’তিন গুন সময় ব্যয় করতে হচ্ছে এবং যথেষ্ট ঝুঁকি নিয়েই চালকরা গাড়ী চালাচ্ছেন।
জানতে চাইলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক খুলনা সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী বলেন, সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে ‘ডিপার্টমেন্টালি’ সংস্কার কাজ করা হচ্ছে। বর্তমানে বেতগ্রাম জিরো পয়েন্ট থেকে তালা পর্যন্ত শুরু করা হয়েছে। আশা করছি ঈদের আগেই কয়রা উপজেলা পর্যন্ত সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক করতে পারবো।
সরেজমিন দেখা গেছে, বর্তমানে সড়কটির কয়রা সদর থেকে চাঁদআলী সেতু পর্যন্ত ১৩ কিলোমিটার বড় বড় খানাখন্দে ভরা। চাঁদআলী সেতু থেকে পাইকগাছা উপজেলার শিবসা সেতু পর্যন্ত ১০ কিলোমিটার রাস্তা কোন রকম চলাচল করা গেলেও পাইকগাছা থেকে তালা উপজেলা হয়ে বেতগ্রাম পর্যন্ত ২৭ কিলোমিটার সড়কের ভগ্ন দশায় প্রতিনিয়তই মৃত্যুঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে মানুষ। স্থানীয় জনসাধারন অভিযোগ করেন, প্রতি বছর সড়কটি উন্নয়নের নামে জনপ্রতিনিধিদের প্রতিশ্রুতিই শোনা যায়। উন্নয়ন কাজ হয় না।
খুলনা বিভাগীয় বাস-মিনিবাস মালিক সমিতির পাইকগাছা লাইন সেক্রেটারি শেখ জাহিদুল ইসলাম বলেন, দীর্ঘদিন ধরে এ সড়কটির উন্নয়ন কাজ ঝুলে থাকায় চরম ভোগান্তি নিয়ে গাড়ি চালাতে হচ্ছে। বিশেষ করে বর্ষা মৌসুম শুরু হলে এ সড়কটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। বর্ষা শুরু হলে বেশ কিছু দিন সড়কে সকল প্রকার যান বাহন চলাচল বন্ধ ছিল। ঈদের কারনে চলাচল স্বাভাবিক রাখতে কর্তৃপক্ষ কিছু স্থানে খোয়া বালি ফেলে সংস্কার করায় গাড়ি চলাচল আবার শুরু হয়েছে। তবে দু’তিন গুন সময় ব্যয় করতে হচ্ছে এবং যথেষ্ট ঝুঁকি নিয়েই চালকরা গাড়ী চালাচ্ছেন।
জানতে চাইলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক খুলনা সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী বলেন, সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে ‘ডিপার্টমেন্টালি’ সংস্কার কাজ করা হচ্ছে। বর্তমানে বেতগ্রাম জিরো পয়েন্ট থেকে তালা পর্যন্ত শুরু করা হয়েছে। আশা করছি ঈদের আগেই কয়রা উপজেলা পর্যন্ত সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক করতে পারবো।