কয়রায় আইলা পুনর্বাসন প্রকল্পের সড়ক নির্মাণ কাজ আড়াই বছরেও শেষ করতে
পারেনি ঠিকাদার। উপজেলা সদর থেকে হায়াতখালী হয়ে গিলাবাড়ি জিসি সড়ক, কয়রা
ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ৪ নম্বর কয়রা বাজার সড়ক ও কয়রা ইউপি থেকে সুতিবাজার সড়কের ২৫ কিলোমিটার পুনর্বাসন কাজ আড়াই বছর ধরে ঝুলে আছে।
এর মধ্যে মাত্র আধা কিলোমিটার সড়কের নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। বাকি সড়কে
খোয়া বিছিয়ে ফেলে রাখা হয়েছে। এতে ওই সড়ক দিয়ে চলাচলের সময় ভোগান্তি
পোহাতে হচ্ছে জনসাধারণকে।
২০১২-১৩ অর্থবছরের শুরুতে এলজিইডির অর্থায়নে 'আইলায় ক্ষতিগ্রস্ত গ্রামীণ অবকাঠামো পুনর্বাসন' শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় ৪ কোটি ৩০ লাখ ৭৯ হাজার টাকা ব্যয়ে সাতটি প্যাকেজে দরপত্র আহ্বান করা হয়।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মো. জাহাঙ্গীর মুন্সী ও মেসার্স শাহীন অ্যান্ড ব্রাদার্স কাজটি পায়। ২০১২ সালের ৪ এপ্রিল কার্যাদেশ দেওয়া হয়। এক বছরের মধ্যে কাজটি শেষ করার কথা ছিল। কিন্তু ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এর মধ্যে দু'বার সময় বাড়িয়েও কাজ সমাপ্ত করতে ব্যর্থ হয়েছে।
দেখা গেছে, সাতটি প্যাকেজের ২৫ কিলোমিটার কাজের মধ্যে কয়রা সদর থেকে হায়াতখালী হয়ে গিলাবাড়ি জিসি সড়কের একটি প্যাকেজে মাত্র আধা কিলোমিটার কার্পেটিং করা হয়েছে। এ ছাড়া সারা রাস্তায় এবড়ো-খেবড়োভাবে খোয়া বিছিয়ে রাখা হয়েছে।
উপজেলার মহারাজপুর গ্রামের বাসিন্দা আবদুস সালাম গাজী বলেন, উপজেলার এ গুরুত্বপূর্ণ সড়ক দিয়ে ব্যবসায়ীদের মালপত্র আনা-নেওয়া করা হয়। তাছাড়া গিলাবাড়ি বাজারে চিংড়ি মাছের একটি বড় মোকাম রয়েছে। বেহাল সড়কটির কারণে ব্যবসায়ীরা ঠিকমতো মালপত্র পরিবহন করতে পারছেন না।
হায়াতখালী বাজারের চাল ব্যবসায়ী মাওলা বকস বলেন, ঠিকাদার সড়কটিতে খোয়া-বালু ফেলে যাতায়াতের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে। কাজ শেষ করার কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না।
ঠিকাদার মো. জাহাঙ্গীর মুন্সী বলেন, চাহিদামতো অর্থ বরাদ্দ না পাওয়া এবং কর্তৃপক্ষের অসহযোগিতার কারণে কাজ শেষ করা সম্ভব হচ্ছে না । আবারও এ কাজের টেন্ডার হবে এবং কাজটি আমিই পাব।
কয়রা উপজেলা প্রকৌশলী বাবুল দেবনাথ বলেন, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটির আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে কাজটি আড়াই বছর ধরে ঝুলে আছে। এ ছাড়া দরপত্র আহ্বানের সুপারিশ করা হয়েছে। নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ না করায় জনভোগান্তি সৃষ্টি হওয়ায় ঠিকাদারকে জরিমানা করা হবে।
