পাইকগাছা পৌরসভা তথা গোটা উপজেলা জুড়ে অবৈধ দখলদারদের স্বর্গরাজ্যে পরিণত
হয়েছে। হাজার-হাজার একর সরকারি জমি, খাস খাল বা নদ-নদী পর্যন্ত অবৈধ
দখলদারদের দখলে চলে গেছে। শুধু তাই’না অত্রাঞ্চলের চিহিৃত
কিছু ভূমিদস্যু রয়েছে, যারা অন্যের জমি, মৎস্য ঘের, এমনকি কারো বসতবাড়িতেও
জবরদখলে যেতে কুন্ঠাবোধ করে না। আর এত্তসব অবৈধ দখলের নেপথ্যে বিতর্কিত
কিছু রাজনীতিক, জনপ্রতিনিধি ও সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীর ভূমিকাও যথেষ্ট
রয়েছে বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর।
উপজেলার চাঁদখালী ইউনিয়নের সাবেক
চেয়ারম্যান সরদার আনিচুর রহমান বলেন, গোটা চাঁদখালী বাজারটাই গড়ে উঠেছে
সরকারি জায়গার উপর। অবৈধটাকে বৈধ করতে কেউ কেউ বিভিন্ন সময় স্থানীয় ভূমি
অফিসের অসাধু কর্মকর্তার সহায়তায় কাগজপত্র তৈরী করে নিয়েছে। ফলে অবৈধ
দখলকারিদের মধ্যে আবার কাগজপত্র ও দখলসত্ব নিয়ে বিরোধের কমতি নেই।
এছাড়া অত্র ইউনিয়নের মধ্যেই দিব্যি চোঁখের সামনে প্রায় সাড়ে ৩-৪ কিলোমিটার দীর্ঘ কাঁটাখালী নামের মরা নদীটি সম্পূর্ণ গিলে ফেলেছে অবৈধ দখলকারীরা। নদীর চিহৃ পর্যন্ত নেই বললেও ভুল হবে না। বসতবাড়ি, মৎস্য ঘের ও কয়লার চুল্লিসহ সেখানে শোভা পাচ্ছে বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। অবশিষ্ট এতটুকু জায়গা ফাঁকা না থাকায় এখন শুরু হয়েছে পাল্টা দখল।
এদিকে কপিলমুনি বাজারের গাঘেঁষা কপোতাক্ষ নদের বিস্তীর্ণ জায়গা দখল করে গড়ে উঠছে পাকা স্থাপনা-মার্কেট। বিষয়টি নিয়ে জাতীয় ও আঞ্চলিক বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হলেও কোনভাবেই যেন রোধ করা যাচ্ছেনা অবৈধ দখল প্রতিযোগিতা।
এছাড়া উপজেলার সোলাদানা ইউনিয়নের দীঘা, পতন, চারবান্দা, ভিলেজ পাইকগাছা ও পারবয়ারঝাপাসহ বেশ কয়েকটি মৌজায় নানা অনিয়মের মাধ্যমে ৬৩টি চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত কেস সম্পাদন করার অভিযোগ উঠলে এর মধ্যে ৪৫টি বন্দোবস্ত কেস বাতিল করেছে কর্তৃপক্ষ। বাতিলকৃত খাস জমি পূর্ণাঙ্গভাবে সরকারের দখলে রয়েছে কিনা তা তদারকি করতে তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন জেলা কৃষি খাস জমি ব্যবস্থাপনা ও বন্দোবস্ত কমিটির সভাপতি।
গত মঙ্গলবার কমিটির প্রধান আরডিসি মোস্তাফিজুর রহমানের নেতৃত্বে কমিটির অন্য দু’সদস্য যথাক্রমে শ্যামল সিংহ রায় ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ কামরুল ইসলাম উল্লেখিত বিভিন্ন মৌজায় সরেজমিন পরিদর্শন করেছেন বলে জানা গেছে।
এছাড়া অত্র ইউনিয়নের মধ্যেই দিব্যি চোঁখের সামনে প্রায় সাড়ে ৩-৪ কিলোমিটার দীর্ঘ কাঁটাখালী নামের মরা নদীটি সম্পূর্ণ গিলে ফেলেছে অবৈধ দখলকারীরা। নদীর চিহৃ পর্যন্ত নেই বললেও ভুল হবে না। বসতবাড়ি, মৎস্য ঘের ও কয়লার চুল্লিসহ সেখানে শোভা পাচ্ছে বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। অবশিষ্ট এতটুকু জায়গা ফাঁকা না থাকায় এখন শুরু হয়েছে পাল্টা দখল।
এদিকে কপিলমুনি বাজারের গাঘেঁষা কপোতাক্ষ নদের বিস্তীর্ণ জায়গা দখল করে গড়ে উঠছে পাকা স্থাপনা-মার্কেট। বিষয়টি নিয়ে জাতীয় ও আঞ্চলিক বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হলেও কোনভাবেই যেন রোধ করা যাচ্ছেনা অবৈধ দখল প্রতিযোগিতা।
এছাড়া উপজেলার সোলাদানা ইউনিয়নের দীঘা, পতন, চারবান্দা, ভিলেজ পাইকগাছা ও পারবয়ারঝাপাসহ বেশ কয়েকটি মৌজায় নানা অনিয়মের মাধ্যমে ৬৩টি চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত কেস সম্পাদন করার অভিযোগ উঠলে এর মধ্যে ৪৫টি বন্দোবস্ত কেস বাতিল করেছে কর্তৃপক্ষ। বাতিলকৃত খাস জমি পূর্ণাঙ্গভাবে সরকারের দখলে রয়েছে কিনা তা তদারকি করতে তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন জেলা কৃষি খাস জমি ব্যবস্থাপনা ও বন্দোবস্ত কমিটির সভাপতি।
গত মঙ্গলবার কমিটির প্রধান আরডিসি মোস্তাফিজুর রহমানের নেতৃত্বে কমিটির অন্য দু’সদস্য যথাক্রমে শ্যামল সিংহ রায় ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ কামরুল ইসলাম উল্লেখিত বিভিন্ন মৌজায় সরেজমিন পরিদর্শন করেছেন বলে জানা গেছে।