সম্প্রতি
পশ্চিম সুন্দরবনের খুলনা ও সাতক্ষীরা রেঞ্জ এলাকার বিভিন্ন খালে বিষ
পাউডার প্রয়োগের মাধ্যমে মৎস্য নিধন করছে। এতে করে বাংলাদেশের লবন পানির
মৎস্য সম্পদ হুমকি মুখে পড়েছে। জানা গেছে, এক শ্রেনীর অসাধু মৎস্য
ব্যবসায়ীরা কতিপয় বন রক্ষিদের সহযোগীতায় নির্বিঘ্নে একাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
জেলেদের সূত্রে জানা যায়, পশ্চিম সুন্দরবনের খুলনা রেঞ্জের গেওয়াখালী, বিদ্যাবতী, চিন্তামনী, পাতকোষ্টা, ব্যাসে, ভ্রমরখালী, ঝালি, কাগা, ম্যাটি সাতক্ষীরা রেঞ্জের দোবাকী ও কুনচী সহ অভয়রন্যের বিভিন্ন খালে ও বিষ প্রয়োগ করে মৎস্য নিধন করে চলেছে। স্থানীয় বন টহল ফাঁড়ির বন কর্মচারীদের সাথে চুক্তিতে অসাধু মৎস্য বস্যবায়ীরা নির্বিঘ্নে সুন্দরবনের সম্পদ ধ্বংস করে চলেছে।
জেলেরা জানায় তারা (৭ দিনে ১ গোন) প্রতি গোনমুখে বন বিভাগ থেকে পাশ পারমিট নিয়ে ৭ দিনের জন্য বনে মাছ ধরতে যায়। ভরাগোনের ৭ দিনে মাছ ধরে লোকালয়ে ফিরে আসে। বাকী ৭ দিন মরাগোন। মরাগোনের ৭ দিনে ছোট মাছ গুলো বড় হয়। পরবর্তী গোনে মাছগুলি পরিপূর্ন বয়স হলে জেলেবা পুনরায় পাস পারমিট করে বনে ঢুকে সে মাছগুলো ধরে থাকে। এভাবেই চলে জেলেদের মাছ ধরা। কিন্তু কিছু অসাধু ব্যবসায়ীরা গোনমুখে মাছ ধরে আর লোকালয়ে ফিরে আসে না। এরা অসাধু বন কর্মচারীদের সাথে সক্ষতা করে পাস পারমিট ছাড়াই বনে থেকে বিষ পাউডারের মাধ্যমে মাছের ডিম থেকে শুরু করে বড় ছোট সব মাছগুলো মেরে ফেলে। পেশাদার জেলেরা পরবর্তী গোনে মাছ ধরতে গেলে যে খালে বা এলাকায় বিষ প্রয়োগ করা হয়, ঐ এলাকার খালে আর মাছ পাওয়া যায় না। কারণ মাছের ডিম থেকে শুরু করে ছোট মাছগুলো মেরে ফেলার ফলে মাছের উপস্থিতি কমে যায়।
বিষ প্রয়োগের মাধ্যমে মাছ ধরার পদ্ধতি : অসাধু জেলেরা প্রথমত যে এলাকায় বিষ প্রয়োগ করবে সে এলাকার খাল নির্বাচন করে। যে খালে বেশি মাছের উপস্থিতি সেই খালকে বেছে নিয়ে পরিপূর্ণ জোয়ারে কিছু টা আগে একটি খালের মাঝ বরাবর জোয়ারের স্রোতে সাদা রঙের শুকনা বিষ পাউডার পানির স্রোতে ছেড়ে দেয়। ৩/৪ কেজি পরিমান পাউডার ছেড়ে দিলে স্রোতের গতিতে পাউডার খাল ও বন সংলগ্ন ঝরানির সমস্ত জায়গায় মিশে মুহুর্তের মধ্যে বিভিন্ন প্রজাতির জলজ সম্পদের মাছের ডিম থেকে শুরু করে রেণু পোনা, বড় মাছ, ছোট মাছ, কাঁকড়া, কুঁচে, সাপ, বাঙস, কীট পতঙ্গ থেকে শুরু করে পানিতে বাস করা সকল প্রাণী মরতে শুরু করে। এবার জোয়ারের পানি ভাটায় নামতে শুরু করার সাথে সাথে বিষ প্রয়োগ কারীরা খালের মাঝ বরাবর সুক্ষ ক্ষদ্রাকৃতি (নিষিদ্ধ নেটজাল) পেতে দেয়। পানির স্রোতের সাথে বিষ ক্রিয়ায় মরা, আধামরা জলজ প্রাণীগুলো জালে এসে আটকে যায়। জেলেরা শুধুমাত্র মাছগুলি নিয়ে বাকী জলজ প্রাণী গুলো নদীতে ফেলে দেয়।
এভাবে প্রতিনিয়ত হত্যা করা হয় শত শত প্রজাতির জলজ সম্পদ গুলো। কয়রা উপজেলা সুন্দরবন মৎস্য ব্যবসায়ী সমবায় সমিতি লিঃ এর সভাপতি সরকার লুৎফর রহমান জানান, উপকূলীয় এ জনপদের গরীব শ্রেণীর শতকরা ৮০ ভাগ মানুষ সুন্দরবনে মৎস্য ধরে জীবিকা নির্বাহ করে থাকে। কিন্তু বর্তমান সময়ে কতিপয় অসাধু মৎস্য ব্যবসায়ীরা বেশি টাকা আয়ের লক্ষ্যে গরীব জেলেদের দিয়ে সুন্দরবনে বিষ দিয়ে মাছ শিকার করছে। এতে করে সুন্দরবনের শুধু মৎস্য সম্পদ ধ্বংস হচ্ছে না, ধ্বংস করা হচ্ছে গরীব শ্রেণীর পেশাদার জেলেদের মুখের আহার। সেই সাথে ধ্বংস করা হচ্ছে বিশ্বের শ্রেষ্ঠ ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চলের জলজ প্রাণীগুলি। মৎস্য ব্যবসায়ী মোঃ জামাল উদ্দীন মোড়ল জানান, যে খালে বিগত গোনে ৩০০ কেজি মাছ পাওয়া গেছে। পরবর্তী গোনে একই খালে মাত্র ৪০ কেজি মাছ পাওয়া গেছে। এতে করে জেলেদের পেট চালানোও দুষ্কর হয়ে পড়েছে।
মৎস্য ব্যবসায়ী মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, বিষ দিয়ে মাছ নিধন যোগ্য বন্ধ না হলে ব্যবসা ছেড়ে দিব। এব্যাপারে জানতে চাইলে বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোঃ জহিরুল হক জানান এধরনের ঘটনা খুবই উদ্বেগ জনক। তবে এব্যাপারে দ্রুত পদক্ষেপ সহ বিষ প্রয়োগকারী মৎস্য ব্যবসায়ীদের বনে ঢোকার পাশ পারমিট বন্ধ করে দেওয়া হবে।
জেলেদের সূত্রে জানা যায়, পশ্চিম সুন্দরবনের খুলনা রেঞ্জের গেওয়াখালী, বিদ্যাবতী, চিন্তামনী, পাতকোষ্টা, ব্যাসে, ভ্রমরখালী, ঝালি, কাগা, ম্যাটি সাতক্ষীরা রেঞ্জের দোবাকী ও কুনচী সহ অভয়রন্যের বিভিন্ন খালে ও বিষ প্রয়োগ করে মৎস্য নিধন করে চলেছে। স্থানীয় বন টহল ফাঁড়ির বন কর্মচারীদের সাথে চুক্তিতে অসাধু মৎস্য বস্যবায়ীরা নির্বিঘ্নে সুন্দরবনের সম্পদ ধ্বংস করে চলেছে।
জেলেরা জানায় তারা (৭ দিনে ১ গোন) প্রতি গোনমুখে বন বিভাগ থেকে পাশ পারমিট নিয়ে ৭ দিনের জন্য বনে মাছ ধরতে যায়। ভরাগোনের ৭ দিনে মাছ ধরে লোকালয়ে ফিরে আসে। বাকী ৭ দিন মরাগোন। মরাগোনের ৭ দিনে ছোট মাছ গুলো বড় হয়। পরবর্তী গোনে মাছগুলি পরিপূর্ন বয়স হলে জেলেবা পুনরায় পাস পারমিট করে বনে ঢুকে সে মাছগুলো ধরে থাকে। এভাবেই চলে জেলেদের মাছ ধরা। কিন্তু কিছু অসাধু ব্যবসায়ীরা গোনমুখে মাছ ধরে আর লোকালয়ে ফিরে আসে না। এরা অসাধু বন কর্মচারীদের সাথে সক্ষতা করে পাস পারমিট ছাড়াই বনে থেকে বিষ পাউডারের মাধ্যমে মাছের ডিম থেকে শুরু করে বড় ছোট সব মাছগুলো মেরে ফেলে। পেশাদার জেলেরা পরবর্তী গোনে মাছ ধরতে গেলে যে খালে বা এলাকায় বিষ প্রয়োগ করা হয়, ঐ এলাকার খালে আর মাছ পাওয়া যায় না। কারণ মাছের ডিম থেকে শুরু করে ছোট মাছগুলো মেরে ফেলার ফলে মাছের উপস্থিতি কমে যায়।
বিষ প্রয়োগের মাধ্যমে মাছ ধরার পদ্ধতি : অসাধু জেলেরা প্রথমত যে এলাকায় বিষ প্রয়োগ করবে সে এলাকার খাল নির্বাচন করে। যে খালে বেশি মাছের উপস্থিতি সেই খালকে বেছে নিয়ে পরিপূর্ণ জোয়ারে কিছু টা আগে একটি খালের মাঝ বরাবর জোয়ারের স্রোতে সাদা রঙের শুকনা বিষ পাউডার পানির স্রোতে ছেড়ে দেয়। ৩/৪ কেজি পরিমান পাউডার ছেড়ে দিলে স্রোতের গতিতে পাউডার খাল ও বন সংলগ্ন ঝরানির সমস্ত জায়গায় মিশে মুহুর্তের মধ্যে বিভিন্ন প্রজাতির জলজ সম্পদের মাছের ডিম থেকে শুরু করে রেণু পোনা, বড় মাছ, ছোট মাছ, কাঁকড়া, কুঁচে, সাপ, বাঙস, কীট পতঙ্গ থেকে শুরু করে পানিতে বাস করা সকল প্রাণী মরতে শুরু করে। এবার জোয়ারের পানি ভাটায় নামতে শুরু করার সাথে সাথে বিষ প্রয়োগ কারীরা খালের মাঝ বরাবর সুক্ষ ক্ষদ্রাকৃতি (নিষিদ্ধ নেটজাল) পেতে দেয়। পানির স্রোতের সাথে বিষ ক্রিয়ায় মরা, আধামরা জলজ প্রাণীগুলো জালে এসে আটকে যায়। জেলেরা শুধুমাত্র মাছগুলি নিয়ে বাকী জলজ প্রাণী গুলো নদীতে ফেলে দেয়।
এভাবে প্রতিনিয়ত হত্যা করা হয় শত শত প্রজাতির জলজ সম্পদ গুলো। কয়রা উপজেলা সুন্দরবন মৎস্য ব্যবসায়ী সমবায় সমিতি লিঃ এর সভাপতি সরকার লুৎফর রহমান জানান, উপকূলীয় এ জনপদের গরীব শ্রেণীর শতকরা ৮০ ভাগ মানুষ সুন্দরবনে মৎস্য ধরে জীবিকা নির্বাহ করে থাকে। কিন্তু বর্তমান সময়ে কতিপয় অসাধু মৎস্য ব্যবসায়ীরা বেশি টাকা আয়ের লক্ষ্যে গরীব জেলেদের দিয়ে সুন্দরবনে বিষ দিয়ে মাছ শিকার করছে। এতে করে সুন্দরবনের শুধু মৎস্য সম্পদ ধ্বংস হচ্ছে না, ধ্বংস করা হচ্ছে গরীব শ্রেণীর পেশাদার জেলেদের মুখের আহার। সেই সাথে ধ্বংস করা হচ্ছে বিশ্বের শ্রেষ্ঠ ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চলের জলজ প্রাণীগুলি। মৎস্য ব্যবসায়ী মোঃ জামাল উদ্দীন মোড়ল জানান, যে খালে বিগত গোনে ৩০০ কেজি মাছ পাওয়া গেছে। পরবর্তী গোনে একই খালে মাত্র ৪০ কেজি মাছ পাওয়া গেছে। এতে করে জেলেদের পেট চালানোও দুষ্কর হয়ে পড়েছে।
মৎস্য ব্যবসায়ী মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, বিষ দিয়ে মাছ নিধন যোগ্য বন্ধ না হলে ব্যবসা ছেড়ে দিব। এব্যাপারে জানতে চাইলে বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোঃ জহিরুল হক জানান এধরনের ঘটনা খুবই উদ্বেগ জনক। তবে এব্যাপারে দ্রুত পদক্ষেপ সহ বিষ প্রয়োগকারী মৎস্য ব্যবসায়ীদের বনে ঢোকার পাশ পারমিট বন্ধ করে দেওয়া হবে।