Friday, June 28, 2013

জোয়ারে পানি বৃদ্ধি, কয়রায় ৮৪ কি.মি. বেড়িবাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ

বৈরী আবহাওয়ায় সুন্দরবন সংলগ্ন উপকূলীয় জনপদ কয়রায় সকল নদ-নদীতে জোয়ারের পানি অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় উপজেলার কপোতাক্ষ ও শাকবাড়িয়া নদীর ৮৪ কিঃমিঃ বেড়িবাঁধ চরম ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। চলতি পূর্ণিমার জোয়ারে বেড়িবাঁধের কোথাও কোথাও পানি উপচে পড়ায় বাঁধের অস্তিত্ব হুমকির সম্মুখীন হয়ে পড়েছে। যে কোন সময় বাঁধ নদীগর্ভে বিলীন হয়ে ঘটতে পারে বিপর্যয়

পাউবো কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি বারবার অবহিত করা হলেও বাঁধ রক্ষায় তারা এখন পর্যন্ত কোন কার্যকরী পদক্ষেপ নিচ্ছে না। ইতমধ্যে এলাকাবাসী স্বেচ্ছশ্রমের ভিত্তিতে বেড়িবাঁধের ক্ষত-বিক্ষত জায়গায় মাটি ফেলানোর কাজ করলেও প্রচুর জোয়ারের চাপে তা কাজে আসছে না।

সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, কয়রা সদর ইউনিয়নের ৪নং কয়রা কোজার, ৬নং কয়রা, ঘাটাখালি, হরিনখোলা, মদিনাবাদ লঞ্চঘাট, উত্তর বেদকাশি ইউনিয়নের কাটকাটা, গাজীপাড়া, গাববুনি, শাকবাড়িয়া, কাশিরহাট, দক্ষিণ বেদকাশি ইউনিয়নের চরামুখা, মেদেরচর, ঘড়িলাল, জোড়শিং, আংটিহারা, গোলখালি, মাটিয়াভাঙ্গা, মহারাজপুর ইউনিয়নের দশালিয়া, লোকা, মঠবাড়ি পবনা, মহেশ্বরীপুর ইউনিয়নের গিলাবাড়ি, নয়ানি, শেখেরকোনাসহ অর্ধশত পয়েন্টে বেড়িবাঁধ চরম ঝুকিপূর্ণ হওয়ায় চলতি পূর্ণিমার জোয়ারে বৈরী আবহাওয়ায় পানি লোকালয়ে প্রবেশের উপক্রম হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ সকল স্থানগুলোয় বেড়িবাঁধে ভাঙন তীব্র হওয়ায় যেকোন মুহূর্তে বাঁধ ধসে গোটা এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশংকা বোধ করছে এলাকাবাসী।

এলাকাবাসী অভিযোগ করে বলেন, যে সকল স্থানগুলো ঝুঁকিপূর্ণ রয়েছে সেখানকার অধিবাসীরা পাউবোর কর্তৃপক্ষকে জানালে তাদের নিয়োজিত লোক দিয়ে দায়সারা গোছর কাজ করে বিল ভাউচারের মাধ্যমে অর্থ আত্মাসাৎ করে থাকেন। যে জন্য বেড়িবাঁধের ঝুঁকি রয়েই যায়।

এ ব্যাপারে পাউবোর সাতক্ষীরা জোনের উপ-উপবিভাগীয় প্রকৌশলী পার্থ প্রতিম সাহা বলেন, ঘূর্ণিঝড় মহাসেনের পর কয়রা এলাকার বেড়িবাঁধের নীচু ও ক্ষতিগ্রস্ত পয়েন্টেগুলোর তালিকা প্রস্তুত করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত কোন বরাদ্ধ ও নির্দেশনা না পাওয়ায় কাজ করা সম্ভব হচ্ছে না।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ শামীম হাসান জানান, ঝুকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ মেরামতের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে।