Thursday, November 14, 2013

অনন্ত সম্পর্কে অনন্তরই একজন ভক্তের কথা

আজ গিয়েছিলাম অনন্ত জলিলের সাথে দেখা করতে,তার গার্মেন্টস ফ্যাক্টরিতে। হেমায়েতপুরে AJI ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের সামনে যেতেই একটু ঘাবড়ে গেলাম। কয়েকশো লোক মাথায় হেমলেট (হেলমেট) পরে দাড়িয়ে আছে হাতে লাঠি-সোটা নিয়ে। কিছুক্ষন ইতস্তত করে ভিতরে গেলেম। কিন্তু ভিতরের অবস্থা স্বাভাবিক।

আজ সাভার-আশুলিয়া অঞ্চলের সব গার্মেন্টস নিরাপত্তা জনিত কারনে বন্ধ থাকলেও এই ফ্যাক্টরিতে কাজ চলছে পুরোদমে। বাহিরের লোক এসে যাতে কারখানায় ভাংচুর করতে না পারে সেজন্য গেটের বাইরে দাড়িয়ে আছে কিছু শ্রামিক (ভাড়া করা গুন্ডা নয়)।

দেখা হলো অনন্ত জলিলের সাথে। তিনি আমাদের সাথে প্রায় দেড় ঘন্টা বিভিন্ন বিষয়ে আলাপ করলেন। আলাপের বিষয়বস্তু রানা প্লাজার ক্ষতিগ্রস্থ শ্রমিক এবং তাদের পুনর্বাসন। কিছু সহযোগীতার অশ্বাস পাওয়া গেলো তার কাছ থেকে।
জানতে পারলাম অনন্ত জলিলের গার্মেন্টসে গর্ভবতী মহিলারা কাজ না করেও প্রতিদিন ৩ ঘন্টা ওভার টাইম পান। এছাড়াও মাসে ২ হাজার টাকা বিশেষ ভাতা। ৪ মাসের মাতৃত্বকালীন ছুটির ২ মাসের বেতন দেয়া হয় অগ্রীম। আর ঢাকায় থাকলে হাসপাতালের খরচ বহন করে কোম্পানী।

আরো জানলাম, গত কয়েকদিনে ১৬৮ জন শ্রমিক মাতৃত্বকালীন ছুটিতে গিয়েছে। তার ফ্যাক্টরীতে হেলপারদের প্রতিদিনের নাস্তার জন্য বরাদ্দ ২৫ টাকা। পাশেই ২৯ বিঘা জমিতে তৈরী হচ্ছে বৃদ্ধাশ্রম।

অনন্ত জলিল লোকটা সাধা-সিধা, মনের ভাব প্রকাশ করেন খুব সহজেই। দীর্ঘ সময়ে একবারও ইংরেজী বলেন নাই। আলু-পটলের দামও জানেন তিনি। সিনেমা তিনি যাই বানান না কেনো, সেটা ভিন্ন বিষয়, কিন্তু লোকটারে আমার খুবই পছন্দ হইছে।