অনাবৃষ্টি, ঋণের দায় ও ঘেরে মড়কের কারণে এবার সাদাসোনা খ্যাত চিংড়ি চাষ করে
বিপাকে পড়েছেন চাষীরা। এসব কারণে বাগদা ও গলদা চিংড়ি উৎপাদনের
লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত না হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে গোটা দক্ষিণাঞ্চলে। এতে
কয়েক হাজার চিংড়ি চাষী দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।
এছাড়া উৎপাদিত চিংড়ির বাজার মূল্যও গত বছরের তুলনায় অনেক কম। তাই নতুন সঙ্কটে পড়ে মাথায় হাত উঠেছে চাষিদের।
এদিকে স্বল্প সময়ে অধিক লাভবান হওয়ার লোভে চিংড়ি চাষে ঝুঁকে পড়ে এখন চোখে অন্ধকার দেখছেন আনেকেই।
অনেকে ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে আবার কেউ কেউ মহাজনদের কাছ থেকে সুদে টাকা ধার করে কৃষিজমিতে ঘের দিয়ে শুরু কেরেন চিংড়ি চাষ।
আবার কেউ কেউ অন্যের জমি লিজ নিয়েও বাগদা চিংড়ি চাষে ঝুঁকে পড়েন। কিন্তু বাগদা চিংড়ির পোনা ছাড়ার পর থেকেই ঘেরে ব্যাপকভাবে মড়ক লাগতে শুরু করে। এতে লাভ তো দূরের কথা, লোকসান গুনতেই ক্লান্ত হয়ে পড়ছেন অনেকেই।
পাইকগাছার গদাইপুর গ্রামের চিংড়ি চাষী আব্দুল বারী শেখ জানান, প্রায় শতাধিক বিঘা জমিতে তিনি এবার বাগদা চাষে প্রায় ৬/৭ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেছেন। এ ঘের থেকে যে পরিমাণ চিংড়ি পাওয়ার আশা ছিল তা ভেস্তে গেছে। ঘের থেকে বাগদা পাচ্ছেন না। বৃষ্টি না থাকার কারণে ঘেরের পানি নোনা হয়ে পড়ে। তাছাড়া নির্দিষ্ট পরিমাণে পানি না থাকায় চিংড়ি মারা যায়। কয়েকদিন আগে বৃষ্টি হওয়ায় তিনি নতুন করে আবারো পোনা ছেড়েছেন। পোনার গ্রোথও ভাল বলে তিনি জানান। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এ খাত দিয়ে তার আসল পুঁজি উঠবে কিনা তা নিয়ে তিনি সন্দিহান।
জেলা মৎস্য অফিসের জরিপ কর্মকর্তা বিধান কুমার মণ্ডল জানান, বিভিন্ন উপজেলায় ৬৫ হাজার ৪শ ৪৬ টি ঘেরে চিংড়ি চাষ হয়েছে। এবছর মোট উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২০ হাজার ৩০০ মেট্রিক টন। ২০১৩ সালে ২০ হাজার ১৮৭ মেট্রিক টন।
তিনি বলেন, ‘গত বছর বাগদা চিংড়ি প্রতি কেজির দাম ছিল ৭০০ টাকা। এবার সেই চিংড়ির দাম প্রতিকেজি মাত্র সাড়ে ৪শ টাকা।’
খুলনা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা প্রফুল্ল কুমার সরকার ঘেরে বাগদা চিংড়ি মরে যাবার কথা স্বীকার করে বলেন, ‘হঠাৎ বৃষ্টিতে লবণ পানির ঘেরে এক ধরনের এসিড তৈরি হয়, মৌসুমের শুরুতে ঘের প্রস্তুত করার সময় চাষীরা ঘেরের মাটির সঠিক পরিচর্যা করে না, জমির ব্যাকটেরিয়া ধংস করার জন্য যে পরিমাণ চুন ব্যবহার করা দরকার তাও ঠিকমতো করেন না। এ ছাড়াও নিয়মিত সুষম খাদ্য সরবরাহ না করা, পানি পরিবর্তন ও বাতাস সঞ্চালনের ব্যবস্থা না করার কারণেও চিংড়ি মারা যেতে পারে।’
তিনি জানান, চিংড়ি চাষে এখনও চাষিরা সনাতন পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়। তাই মারা যাওয়ার প্রবণতাও বাড়ছে। চাষীদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সচেতন করা হচ্ছে।
এদিকে স্বল্প সময়ে অধিক লাভবান হওয়ার লোভে চিংড়ি চাষে ঝুঁকে পড়ে এখন চোখে অন্ধকার দেখছেন আনেকেই।
অনেকে ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে আবার কেউ কেউ মহাজনদের কাছ থেকে সুদে টাকা ধার করে কৃষিজমিতে ঘের দিয়ে শুরু কেরেন চিংড়ি চাষ।
আবার কেউ কেউ অন্যের জমি লিজ নিয়েও বাগদা চিংড়ি চাষে ঝুঁকে পড়েন। কিন্তু বাগদা চিংড়ির পোনা ছাড়ার পর থেকেই ঘেরে ব্যাপকভাবে মড়ক লাগতে শুরু করে। এতে লাভ তো দূরের কথা, লোকসান গুনতেই ক্লান্ত হয়ে পড়ছেন অনেকেই।
পাইকগাছার গদাইপুর গ্রামের চিংড়ি চাষী আব্দুল বারী শেখ জানান, প্রায় শতাধিক বিঘা জমিতে তিনি এবার বাগদা চাষে প্রায় ৬/৭ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেছেন। এ ঘের থেকে যে পরিমাণ চিংড়ি পাওয়ার আশা ছিল তা ভেস্তে গেছে। ঘের থেকে বাগদা পাচ্ছেন না। বৃষ্টি না থাকার কারণে ঘেরের পানি নোনা হয়ে পড়ে। তাছাড়া নির্দিষ্ট পরিমাণে পানি না থাকায় চিংড়ি মারা যায়। কয়েকদিন আগে বৃষ্টি হওয়ায় তিনি নতুন করে আবারো পোনা ছেড়েছেন। পোনার গ্রোথও ভাল বলে তিনি জানান। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এ খাত দিয়ে তার আসল পুঁজি উঠবে কিনা তা নিয়ে তিনি সন্দিহান।
জেলা মৎস্য অফিসের জরিপ কর্মকর্তা বিধান কুমার মণ্ডল জানান, বিভিন্ন উপজেলায় ৬৫ হাজার ৪শ ৪৬ টি ঘেরে চিংড়ি চাষ হয়েছে। এবছর মোট উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২০ হাজার ৩০০ মেট্রিক টন। ২০১৩ সালে ২০ হাজার ১৮৭ মেট্রিক টন।
তিনি বলেন, ‘গত বছর বাগদা চিংড়ি প্রতি কেজির দাম ছিল ৭০০ টাকা। এবার সেই চিংড়ির দাম প্রতিকেজি মাত্র সাড়ে ৪শ টাকা।’
খুলনা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা প্রফুল্ল কুমার সরকার ঘেরে বাগদা চিংড়ি মরে যাবার কথা স্বীকার করে বলেন, ‘হঠাৎ বৃষ্টিতে লবণ পানির ঘেরে এক ধরনের এসিড তৈরি হয়, মৌসুমের শুরুতে ঘের প্রস্তুত করার সময় চাষীরা ঘেরের মাটির সঠিক পরিচর্যা করে না, জমির ব্যাকটেরিয়া ধংস করার জন্য যে পরিমাণ চুন ব্যবহার করা দরকার তাও ঠিকমতো করেন না। এ ছাড়াও নিয়মিত সুষম খাদ্য সরবরাহ না করা, পানি পরিবর্তন ও বাতাস সঞ্চালনের ব্যবস্থা না করার কারণেও চিংড়ি মারা যেতে পারে।’
তিনি জানান, চিংড়ি চাষে এখনও চাষিরা সনাতন পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়। তাই মারা যাওয়ার প্রবণতাও বাড়ছে। চাষীদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সচেতন করা হচ্ছে।