Monday, June 16, 2014

কপিলমুনির স্থপতি রায় সাহেব বিনোদ বিহারী সাধু’র কর্মময় জীবন :: ১

দক্ষিণের জনপদ কপিলমুনি। কপিলমুনি একটি নাম, একটি ইতিহাস। জঙ্গল পরিষ্কারের পর সেখানে বসতি স্থাপন করে নৌপথে ব্যবসা বাণিজ্য শুরু করলেও উন্নয়নের ছোয়া লাগেনি সে সময়। তখন ঐতিহ্যবাহী কপিলমুনির মাটিতে জন্ম নেন এক জাতক। 


মানুষের ভেতরকার অন্ধকারকে দূর করবার লক্ষ্যে ঐ নবজাতক বাল্যকাল থেকে নিরলস, নিঃস্বার্থভাবে সমাজ উন্নয়নে কাজ করে গেছেন। যে কর্মের ফল ভোগ করে কপিলমুনির অগণিত মানুষ আজ সভ্যতার স্বর্ণ শিখরে পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছেন। যার ব্যবসায়িক আদর্শ অনুসরণে অনেকেই আজ অন্যতম বড় ব্যবসায়ী। তিনি হলেন আধুনিক কপিলমুনি রূপকার স্বর্গীয় রায় সাহেব বিনোদ বিহারী সাধু।

খুলনার দক্ষিণে সাপের মত একে বেকে বয়ে চলা কপোতাক্ষের তীরভূমি কপিলমুনিতে তিনি জন্ম নিয়েছিলেন ১৮৯০ সালের ২০ মে শুক্লাষ্টমী তিথীতে। পিতা যাদব চন্দ্র সাধু, মাতা সহচরী দেবী, পিতামহ ভরত চন্দ্র সাধু, পিতামহী অমৃতময়ী দেবী। পিতা মাতার চার পুত্রের তৃতীয় তিনি।

পড়ালেখায় স্কুলের গণ্ডি পার হননি। সে সময় পড়ালেখার তেমন সুযোগও ছিল না। বাড়ি অর্থাৎ কপিলমুনি থেকে সাত কিলোমিটার দূরে পায়ে হেঁটে নদী পেরিয়ে বিশ্ব বরেণ্য বৈজ্ঞানিক স্যার পিসি রায় প্রতিষ্ঠিত রাড়ুলীর আর.কে.বি.কে হরিশচন্দ্র ইনস্টিটিউটে ষষ্ঠ শ্রেণি পর্যন্ত লেখা পড়া করেন তিনি। এখানেই তার ছাত্র জীবনের যবনিকা ঘটে।

আর সাথে সাথে সূত্রপাত ঘটে দৃষ্টান্ত স্থাপন করা কর্মময় জীবনের। তিনি সে সময় বাংলাদেশ ও ভারতে বিশাল ব্যবসা পরিচালনা করে ভাগ্যের চাকা ঘুরিয়ে কপিলমুনিতে প্রতিষ্ঠিত করেন একাধিক জনহিতকর প্রতিষ্ঠান।

আধুনিক কপিলমুনির স্থপতি রায় সাহেব বিনোদ বিহারী সাধুর কর্মময় জীবন শীর্ষক ধারাবাহিক প্রতিবেদনে উঠে আসবে দক্ষিণাঞ্চলের অন্যতম এই সমাজ সেবক সম্পর্কিত না জানা গুরুত্বপূর্ণ অনেক তথ্য, যা জানতে চোখ রাখুন পরবর্তী সংখ্যাগুলোতে।