Monday, June 16, 2014

আবহাওয়ার বিরূপ প্রভাব; পাইকগাছায় ঘরে ঘরে ভাইরাস জ্বরের প্রকোপ

পাইকগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রোগীর লম্বা লাইন। চিকিৎসকেরা হিমশিম খাচ্ছেন সকলকে পরামর্শ দিতে। এদের মধ্যে অধিকাংশই ভাইরাস জনিত জ্বর, সর্দি, কাশিতে আক্রান্ত। জ্বরে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে এসেছেন। গত এক সপ্তাহ ধরে চলছে এ অবস্থা। 


চিকিৎসকেরা বলছেন, আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে জনস্বাস্থ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার অংশ হিসেবে ভাইরাস জ্বরের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। এর শিকার হচ্ছে বেশী শিশু ও বৃদ্ধরা। পৌর এলাকাসহ গ্রামাঞ্চলের সর্বত্র ভাইরাস জ্বরের ব্যাপক প্রাদুর্ভাব ঘটেছে। প্রতিদিনই নতুন করে এই জ্বরে আক্রান্ত হচ্ছে শত শত মানুষ। শরীরে তীব্র ব্যথা আর কাঁপুনিতে আতঙ্কিত রোগীরা ছুটছে হাসপাতালে।

পাইকগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে এই সময়ে ভাইরাস জ্বরের প্রাদুর্ভাব ঘটে বেশী। এ জন্য সকলকে সচেতন থাকা জরুরী। জ্বরে আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে বৃদ্ধ ও শিশুর সংখ্যা বেশি। তবে এতে ভয়ের কিছু নেই। অধিকাংশ রোগীকে চিকিৎসা ও পরামর্শ দিয়ে ছেড়ে দেয়া হচ্ছে।

জ্বরের লক্ষন হিসেবে উল্লেখ্য, রোগীর শরীরের তাপমাত্রা জ্বরে ১০২ থেকে ১০৫ ডিগ্রি পর্যন্ত হতে পারে। জ্বরের স্থায়িত্ব তিন থেকে সাত দিন পর্যন্ত হয়ে থাকে। প্রচন্ড গরমের কারণে এ ধরনের জ্বর হয়ে থাকে।

সংশ্লিষ্ট অভিজ্ঞ চিকিৎসকরা জানান, একদিকে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে অন্যদিকে বাতাসে আদ্রতাও কম। ফলে শরীরে পানি শূন্যতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘাম বের হয়ে সেটা পুনরায় শরীরে বসে ঠান্ডা জমে যাচ্ছে। এর মাধ্যমে জ্বর, সর্দি ও কাশি হচ্ছে। এগুলো ভাইরাস বাহিত হওয়ায় তা’ ছোঁয়াচে। ফলে একজনের থেকে অন্যজনে ছড়াচ্ছে খুব দ্রুত।

শিশুরা খুব দ্রুত এর শিকার হয়। এ জন্য তাদেরকে রোদে বের না করা এবং বেশী করে পানি পান করানো উচিত। জ্বর একটু বেশী হলে অবশ্যই যতদ্রুত সম্ভব চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে। শরীরে অস্বাভাবিক তাপমাত্রার কারণে রোগী খুব দুর্বল হয়ে পড়ে। এ সময় সব ধরনের স্বাভাবিক খাবারসহ পুষ্টিকর খাবার খাওয়া উচিত। তবে এতে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।