বিরোধকে পুজি করে একটি মহলের সুবিধা নেয়ার চেষ্ঠা
পাইকগাছায় দীর্ঘদিনের বিরোধের জের ধরে একাধিক মামলায় জড়িয়ে পড়েছে জনপ্রিয় ইউপি চেয়ারম্যান এসএম এনামুল হক ও আলোচিত মামলাবাজ গোলক চন্দ্র মন্ডল। বর্তমানে পৃথক দু’টি মামলায় দু’জনেই জেল হাজতে রয়েছে। এদিকে সৃষ্ট বিরোধকে পুঁজি করে স্থানীয় একটি মহল সমঝোতার চেষ্ঠা না করে সুবিধা নেয়ার চেষ্ঠা করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বিরোধকে কেন্দ্র করে ভবিষ্যাতে অনাকাঙ্খিত ঘটনা এড়াতে এলাকার সুধী সমাজকে সমঝোতার উদ্যোগ নেয়া উচিত বলে মনে করছেন এলাকাবাসী।
জানা গেছে, চিংড়ী ঘের ও মামলার তদন্ত প্রতিবেদন নিয়ে সোলাদানা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এসএম এনামুল হক ও একই ইউনিয়নের খালিয়ারচক গ্রামের মৃত গোবিন্দলালের পুত্র গোলক চন্দ্রের মধ্যে বিরোধ দেখা দেয়। বিরোধকে কেন্দ্র করে উভয়ই জড়িয়ে পড়ে একাধিক মামলায়। বিভিন্ন লোককে দিয়ে মামলা করানো ও মামলার তদবিরকারক হিসাবে গোলককে অনেকেই মামলাবাজ হিসাবে বলে থাকে।
এসব নানাবিধ কারনে ইতোমধ্যে গত কয়েকবছরে গোলকের বিরুদ্ধে থানায় ১৩ টি জিআর মামলা হয়েছে। যার জিআর নং-১৪/১৪, ২০/১৩/, ৬৫/১৩, ৬৪/১৩, ২৫/১৩, ৪৮/১৩, ৩৫/১৩, ৩৪/১৩, ৫৩/১৩, ১০৬/১৩, ৯৮/০৮, ১০৬/০৮, ১৫২/০৮। এসব মামলায় গ্রেফতারের দাবীতে ইউপি চেয়ারম্যানরা ইতোপূর্বে উপজেলা আইন শৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা বর্জন করে।
সর্বশেষ গত ০৭/০৯/১৪ তারিখে মারপিট ও শ্লীলতাহানির ঘটনার উপজেলার দেলুটি ইউনিয়নের জখারহুলা গ্রামের মৃত অতুল শীলের পুত্র ভবসিন্ধু শীল বাদী হয়ে গোলককে প্রধান আসামী করে ১৩ জনের নাম উল্লেখ ও ১০/১২ জনকে অজ্ঞাত আসামী করে থানায় মামলা করলে মামলার এজাহারনামীয় আসামী হিসাবে গোলককে গ্রেফতারের দাবী ওঠে।
গত ১১ সেপ্টেম্বর ইউপি চেয়ারম্যানের লোকজন গোলককে ধরে মারপিট করে পুলিশে দেয় এমন অভিযোগে গোলক বাদী হয়ে ইউপি চেয়ারম্যানকে প্রধান আসামী করে ১১ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত ১০/১১ জনকে আসামী করে থানায় মামলা করে। ঘটনার দিন এ মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে থানা পুলিশ ইউপি চেয়ারম্যানকে আদালতে পাঠায়।
অপরদিকে ঘটনার দু’একদিন পর পুলিশ হেফাজতে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন গোলককেও আদালতে পাঠানো হয়। ঘটনার পর হতে দু’পক্ষের লোকজন পাল্টা-পাল্টি কর্মসূচী পালন করে আসছে। চেয়ারম্যান সমর্থকরা দায়েরকৃত মামলা প্রত্যাহার ও মুক্তির দাবীতে এলাকায় পোষ্টারিংসহ প্রতিবাদ সমাবেশ পালন করেছে।
অপরদিকে গোলক সমর্থকরাও মানববন্ধনসহ বিভিন্ন কর্মসূচী পালন করেছে। এদিকে সৃষ্ট বিরোধকে সমঝোতার উদ্যোগ না নিয়ে একটি মহল সুবিধা নেয়ার চেষ্ঠা করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। অনেকেই বলছেন আগামী ইউপি নির্বাচনকে সামনে রেখে গোলককে পুুঁজি করে বর্তমান চেয়ারম্যানের প্রতিপক্ষ চেয়ারম্যান প্রার্থীরা এক কাতারে দাড়িয়েছেন। এভাবে কাদা ছোড়াছুড়ি না করে সৃষ্ট বিরোধ সমাধানের লক্ষ্যে সমঝোতার উদ্যোগ নেয়া উচিত বলে মনে করেন এলাকাবাসী।