Thursday, September 18, 2014

কপিলমুনিতে স্কুল ছাত্রীকে শ্লীলতাহানী ঘটনায় অবশেষে পাইকগাছা থানায় মামলা

ভিকটিম পরিবার নিরাপত্তাহীনতায়


কপিলমুনিতে স্কুল ছাত্রীকে শ্লীলতাহানীর ঘটনায় পাইকগাছা থানায় মামলা হয়েছে। এদিকে থানায় মামলার পর আসামি ও সমঝোতাকারীরা দৌড়-ঝাঁপ শুরু করে দিয়েছে। তারা ভিকটিমের পরিবারকে প্রভাব খাটিয়ে চাপের মধ্যে ফেলে স্বাক্ষর আদায়ের চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় চরম নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছে ভিকটিমের অসহায় পরিবার।

সূত্রমতে, গত ৮ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার কপিলমুনির কাশিমনগর গ্রামের বাড়ি থেকে ফুসলিয়ে নিয়ে পরিত্যক্ত দোকান ঘরের অভ্যন্তরে শ্লীলতাহানির শিকার হয়েছে ১২ বছরের এক স্কুল ছাত্রী। ওই এলাকার আব্বাস আলী মোড়লের ছেলে আতিয়ার রহমান (২১) ও রহমত মোড়লের পুত্র মোমিন মোড়ল (২০) কৌশলে পার্শ্ববর্তী তানভীরকে দিয়ে ছাত্রীকে ডেকে পাঠায়।

সেখানে ওই ছাত্রী পৌঁছানো মাত্রই আতিয়ার জোর পূর্বক দোকানের ভিতরে ঢুকিয়ে দরজা বন্ধ করে তার শ্লীলতাহানী ঘটায়। তানভীর বাহিরে থেকে দরজায় তালা লাগিয়ে দেয়। এ সময় পথযাত্রী মোমিন বিষয়টি আঁচ করতে পেরে তানভীরের কাছ থেকে চাবি নিয়ে ওকে চলে যেতে বলে। এক পর্যায় আতিয়ার ঘরের জানালা খুলে বের হয়ে কিশোরীকে মোমিনের কাছে দিয়ে বাড়িতে পৌঁছে দিতে বলে সে পালিয়ে যায়।

এর পর সুযোগ সন্ধানী মোমিন বিভিন্ন ভাবে শিশুটিকে ভয়ভীতি দেখিয়ে পার্শ্ববর্তী জনৈক ব্যক্তির পানের বরজে নিয়ে গিয়ে দ্বিতীয় দফায় শ্লীলতাহানী ঘটায়। বিষয়টি ওই রাতেই বাড়ি ফিরে সে তার মাসহ অন্যান্য স্বজনদের জানায়। বিষয়টি তড়িৎ এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে অবস্থা বেগতিক দেখে শ্লীলতাহানীর ঘটনায় জড়িত আতিয়ার, মোমিন ও তানভীর গা ঢাকা দেয়।

এদিকে বিষয়টি নিয়ে যাতে থানা পুলিশ পর্যন্ত না গড়ায় সেজন্য আতিয়ারের দোসররা মোটা অংকের টাকার মিশন নিয়ে মাঠে নামে। ঘটনায় কপিলমুনির পুলিশ ফাঁড়ির এস.আই হাসমত আলী ও এ.টি.এস.আই শারেজাহান ঘটনাস্থলে গেলেও পরবর্তীতে অজ্ঞাত কারণে কোন মামলা হয়নি।

ঘটনা সর্বত্র জানাজানি হলে এলাকাবাসীর মাঝে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। দাবি ওঠে ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের। এ ব্যাপারে থানায় মামলা হয়েছে বলে জানান কপিলমুনি পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এস.আই হাসমত আলী। এদিকে বর্তমানে চরম নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছে ভিকটিমের অসহায় পরিবার।