উপজেলার
গদাইপুর ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামের সেলিম গাজীকে (২৭) প্রেমঘটিত ঘটনার জের
ধরে হত্যা করা হয়েছিল। তাছাড়া মসজিদের মাইক চুরির ঘটনা দেখে ফেলা কাল
হয়েছে তার। আরশাদ গাজীর পুত্র সেলিমকে মানিকতলা জামে মসজিদের ছাদের উপর
ফেলে হত্যা করা হয়। দীর্ঘ ৬ বছর পর গত ৭ জুন ঘটনায় জড়িত গোপালপুর গ্রামের
জনৈক আফিল উদ্দিন গাজীর পুত্র রাজিব আহমেদ রাজু (২৬) পাইকগাছা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে এসব কথা জানায়।
আদালতে দেয়া জবানবন্দিতে রাজু জানায়, একই এলাকার ওহিদ ও মোমজেদ মানিকতলা জামে মসজিদের মাইক চুরি করলে তা দেখে ফেলে সেলিম গাজী। এছাড়া ওই এলাকার এক মেয়েকে ভালোবাসত মোমজেদ ও সেলিম উভয়ই। এনিয়ে তাদের মধ্যে ঝগড়া-বিবাদ হয়। বিষয়টি নিয়ে তৎকালীন পুলিশিং কমিটির সভাপতি মাহফুজুল হক কিনুর কার্যালয়ে সালিশী বৈঠক হলে মোমজেদ সেলিমকে মারধর করতে উদ্যত হয় এবং সালিশী বৈঠক ভেস্তে যায়। এর পরই সেলিমকে প্রাণে মেরে ফেলার পরিকল্পনা করা হয়।
ঘটনার দিন (২১/০৫/০৭) সন্ধ্যায় মোমজেদ, রাজু, ওহিদ, কামরুল ও মিনারুল সেলিমকে ধরে নিয়ে ব্যাপক মারপিট করে। এক পর্যায়ে রাতে সেলিমকে মানিকতলা জামে মসজিদের ছাদের উপর নিয়ে হত্যার পর সেলিমের গালে বিষ ও এসিড দিয়ে মুখমন্ডল ঝলসে দেয় যাতে কেউ তাকে চিনতে না পারে। এদিকে ঘটনার একদিন পর স্থানীয় মুসল্লীরা মাগরিবের নামাজ আদায় করতে মসজিদে গেলে সবাই মারাত্মক দুর্গন্ধ অনুভব করে এবং দুর্গন্ধের কারণ খুঁজতে গিয়ে ছাদের এক কোনে সেলিমের অর্ধগলিত লাশ দেখা যায়।
এ ঘটনায় সেলিমের মা রোকেয়া বেগম বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামীদের নামে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই সময় পুলিশ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ওহিদকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে জেলহাজতে পাঠালেও ধৃত ওহিদের কাছ থেকে কোন ক্লু উদঘাটন করতে পারেনি পুলিশ। এক পর্যায়ে মামলার বাদীর আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত মামলাটির তদন্তভার সিআইডিতে হস্তান্তরের নির্দেশ দেন।
খুলনা জেলা সিআইডি ইন্সপেক্টর সরদার মো. হায়াত আলী বলেন, সেলিমকে হত্যার পর ওই রাতেই হত্যাকারীরা মাহফুজুল হক কিনুর বাড়িতে গিয়ে জানায় ‘সেটাকে’ শেষ করে দিয়েছি। তখন কিনু তাদেরকে যার যার বাড়ি চলে যেতে বলে এবং বিষয়টি আমি দেখব বলে তাদেরকে অভয় দেয়। এদিকে জেলহাজতে থাকা মিনারুল গাজীকে অত্র মামলায় শোন এ্যারেষ্ট দেখিয়ে গতকাল আদালতের মাধ্যমে এক দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।
আদালতে দেয়া জবানবন্দিতে রাজু জানায়, একই এলাকার ওহিদ ও মোমজেদ মানিকতলা জামে মসজিদের মাইক চুরি করলে তা দেখে ফেলে সেলিম গাজী। এছাড়া ওই এলাকার এক মেয়েকে ভালোবাসত মোমজেদ ও সেলিম উভয়ই। এনিয়ে তাদের মধ্যে ঝগড়া-বিবাদ হয়। বিষয়টি নিয়ে তৎকালীন পুলিশিং কমিটির সভাপতি মাহফুজুল হক কিনুর কার্যালয়ে সালিশী বৈঠক হলে মোমজেদ সেলিমকে মারধর করতে উদ্যত হয় এবং সালিশী বৈঠক ভেস্তে যায়। এর পরই সেলিমকে প্রাণে মেরে ফেলার পরিকল্পনা করা হয়।
ঘটনার দিন (২১/০৫/০৭) সন্ধ্যায় মোমজেদ, রাজু, ওহিদ, কামরুল ও মিনারুল সেলিমকে ধরে নিয়ে ব্যাপক মারপিট করে। এক পর্যায়ে রাতে সেলিমকে মানিকতলা জামে মসজিদের ছাদের উপর নিয়ে হত্যার পর সেলিমের গালে বিষ ও এসিড দিয়ে মুখমন্ডল ঝলসে দেয় যাতে কেউ তাকে চিনতে না পারে। এদিকে ঘটনার একদিন পর স্থানীয় মুসল্লীরা মাগরিবের নামাজ আদায় করতে মসজিদে গেলে সবাই মারাত্মক দুর্গন্ধ অনুভব করে এবং দুর্গন্ধের কারণ খুঁজতে গিয়ে ছাদের এক কোনে সেলিমের অর্ধগলিত লাশ দেখা যায়।
এ ঘটনায় সেলিমের মা রোকেয়া বেগম বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামীদের নামে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই সময় পুলিশ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ওহিদকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে জেলহাজতে পাঠালেও ধৃত ওহিদের কাছ থেকে কোন ক্লু উদঘাটন করতে পারেনি পুলিশ। এক পর্যায়ে মামলার বাদীর আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত মামলাটির তদন্তভার সিআইডিতে হস্তান্তরের নির্দেশ দেন।
খুলনা জেলা সিআইডি ইন্সপেক্টর সরদার মো. হায়াত আলী বলেন, সেলিমকে হত্যার পর ওই রাতেই হত্যাকারীরা মাহফুজুল হক কিনুর বাড়িতে গিয়ে জানায় ‘সেটাকে’ শেষ করে দিয়েছি। তখন কিনু তাদেরকে যার যার বাড়ি চলে যেতে বলে এবং বিষয়টি আমি দেখব বলে তাদেরকে অভয় দেয়। এদিকে জেলহাজতে থাকা মিনারুল গাজীকে অত্র মামলায় শোন এ্যারেষ্ট দেখিয়ে গতকাল আদালতের মাধ্যমে এক দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।