Thursday, September 11, 2014

পাইকগাছা-আঠারমাইল সড়কের বেহাল দশা; দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি

পাইকগাছা-আঠারমাইল সড়ক চলাচল অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। বিভিন্ন স্থানে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে, অবস্থা এতই বেগতিক যে, যাত্রীদের হাসাহাসি করে বলতে শুনা গেছে, কোন নয় মাসের গর্ভবতি মা এই রাস্তা দিয়ে কোথাও যাওয়ার জন্য গাড়ীতে উঠলে গর্ভপাত হয়ে যাওয়ার খুবই সম্ভাবনা রয়েছে।

ফাইল ফটো
সরেজমিন পরিদর্শন করে জানা যায়, আঠারমাইল এলাকা থেকে পাইকগাছা পর্যন্ত প্রায় ৪৫-৫০ কিলোমিটার সড়ক দীর্ঘ দিন থেকে চলাচল অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। আঠারমাইল থেকে পাইকগাছা পর্যন্ত যেতে আগে যেখানে সময় লাগত ২ থেকে আড়াই ঘন্টা, এখন একই রাস্তা যেতে এখন সময় লাগে ৪ থেকে সাড়ে চার ঘন্টা। খুলনা থেকে পাইকগাছা পর্যন্ত যে বাস সার্বিস চালু ছিল তা অনেক দিন রাস্তা সমস্য থাকায় তালা বাজার পর্যন্ত গিয়ে আর যেতে পারছেনা। এ কারণে এলাকার সাধারন মানুষ যাতায়াত সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। তালা থেকে কফিলমুনি হয়ে পাইকগাছা পর্যন্ত যাতায়াতে এখন মোটর সাইকেলই হয়ে পড়েছে প্রধান বাহন।

এ ছাড়াও নছিমন, করিমন, ভ্যান ইত্যাদি যানবাহনে ঝুকি নিয়েই প্রতিদিন চলাচল করছে হাজারো মানুষ। খুলনা দক্ষিন অঞ্চলের বানিজ্যিক কেন্দ্র নামে খ্যাত কপিলমুনি বাজার এখন খুলনা থেকে মালামাল আনা নেয়ায় জটিলতা সৃষ্টি হওয়ার সাধারন মানুষকে গুনতে হচ্ছে দ্বিগুন মাশুল। হু হু করে বেড়ে যাচ্ছে নিত্য প্রয়োজনিয় দ্রব্য মুল্যের দাম।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্থানীয় এক দোকানদার বলেন, রাস্তাটি সংস্কার কাজ শুরু করার আগ পর্যন্ত আমরা গাড়িতে করে কফিলমুনি পর্যন্ত মালামাল আনতে পারলেও, কাজ শুরু করে রাস্তা খুড়ে ফেলে রাখায় সেটা আর সম্ভব হচ্ছে না। তাই যাতায়াত খরচ বেড়ে যাচ্ছে, খরচ পোষানোর জন্য আমাদেরকেও একটু বেশী মূল্যে বিক্রি করতে হচ্ছে। কয়রা উপজেলার হুমায়ন কবির নামের এক ব্যক্তির সাথে কথা বলে জানা যায়, প্রতিদিনই রাস্তায় ছোট খাট দূর্ঘটনা ঘটছে, মানুষ আহত হচ্ছে। একই কারণে সঠিক চিকিৎসা নেয়াও কষ্টকর হয়ে যাচ্ছে।

স্থানীয় সংসদ সদস্য এড.মোস্তফা লুৎফুল্লাহর নিকট রাস্তার সংস্কার কাজটি কবে নাগাদ শেষ হতে পারে মুঠো ফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন, গত এমপি সাহেবের আমলে কাজটির টেন্ডার হয়, তারা কাজটি শুরু করে, কিছু অংশের কাজ শেষও করে। অধিকাংশ অংশ শেষ করতে না পারায় জনদুর্ভোগ বেড়ে যায়। আমি আসার পরে কাজটি করার জন্য চাইলেও ইঞ্জিনিয়ার’সহ কয়েকজন পরামর্শ দের বর্ষায় কাজটি করলে টিকবেনা তাই এখনি কাজটি শুরু করা যাচ্ছে না, তবে বিষটি আমার নজরে আছে।

এলাকার মানুষের আকুতি ইট ফেলে হলেও রাস্তাটি আপাতত চলাচল উপযোগী করে অতি ধ্রুত সংস্কার কাজটি সম্পূর্ন করা হোক। এতে করে সাধারন মানুষের দুর্ভোগ অনেকাংশে লাগব হবে।