বাংলাদেশ থেকে জঙ্গি অনুপ্রবেশ ঠেকাতে সুন্দরবন এলাকায় ড্রোন ও নাইটভিশন
রাডার বসাচ্ছে ভারতীয় নৌবাহিনী। মঙ্গলবার দেশটির পশ্চিমবঙ্গ থেকে প্রকাশিত
দৈনিক সংবাদ প্রতিদিনের অনলাইন সংস্করণে এ সংক্রান্ত একটি নিবন্ধ ছাপা হয়।
নিবন্ধে বলা হয়, মুম্বাই হামলার ধাঁচে জলপথে জঙ্গি অনুপ্রবেশ ঠেকাতে
চালকহীন বিমানের পাশাপাশি নাইটভিশন রাডার বসাচ্ছে ভারতীয় নৌসেনা কর্তৃপক্ষ।
মূলত, বাংলাদেশে জামায়াতের বাড়বাড়ন্ত ভাবিয়ে তুলেছে সেনাবাহিনীকে।
অন্যদিকে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্ট অনুযায়ী, এই জলপথ ব্যবহার করে
হরকাতুল জিহাদের (হুজি) জঙ্গিরা ফের ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করছে। তাই
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তরফ থেকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
সম্প্রতি ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ এবং নৌবাহিনীর পক্ষ থেকে একটি সমীক্ষা চালানো হয়েছিল। সমীক্ষা অনুযায়ী, সুন্দরবনের ১৩২ কিলোমিটার পথ সম্পূর্ণ অরক্ষিত অবস্থায় আছে। চলতি বছরের জানুয়ারি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি প্রতিনিধি দল সুন্দরবন পরিদর্শনে আসে। এমনকি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীও নিজে সুন্দরবন ঘুরে দেখেন। এই বিস্তীর্ণ সীমান্ত অরক্ষিত অবস্থায় পড়ে থাকায় চিন্তিত ভারতীয় নিরাপত্তা সংস্থা। তাই একাধিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
সমীক্ষা রিপোর্টে দেখা যায়, উত্তর ২৪ পরগনার শমশেরনগরে রয়েছে একটি বর্ডার আউটপোস্ট যার দেখাশোনা করে বিএসএফ। যদিও এই আউটপোস্ট মূলত ‘ল্যান্ড আউটপোস্ট’। এই এলাকা থেকে বঙ্গোপসাগর হয়ে যে নদীপথ রয়েছে সেখানে তিনটি ভাসমান আউটপোস্ট রয়েছে। এগুলোর মাধ্যমে নজরদারি চালায় বিএসএফ। একাধিক বাংলাদেশি জলযান প্রতিদিন এই পথ ধরেই ভারতে আসে। প্রথমে জলযানগুলো তল্লাশি করা হয় হেমনগর এলাকায়। তারপর নদীপথে সুন্দরবন হয়ে জলযানগুলো চলে যায় নামখানা বা কলকাতার দিকে। আগে তল্লাশি করা হতো নামখানায়। বিগত বছর থেকে সেই তল্লাশি হচ্ছে হেমনগরে। এর পরেওদেখা যাচ্ছে, বিস্তীর্ণ অংশ অরক্ষিত রয়েছে।
নৌবাহিনীর পক্ষ থেকে নির্দিষ্ট অভিযোগে বলা হচ্ছে, হেমনগরে কাগজপত্র তল্লাশি চালানো হলেও তাতে ফাঁক থেকে যাচ্ছে। কী রকম ফাঁক ? এক সেনা কর্মকর্তা জানান, জলযানে প্রতিটি কোণ পরীক্ষা করা হয় না। কাগজপত্র দেখা হয়। কিন্তু সত্যিই কী উদ্দেশ্যে এই জলযানের ভারতের জলপথে আসা তার উত্তর মেলে না। এ থেকে নৌবাহিনী আশঙ্কা করছে, কোনও জঙ্গি সংগঠনের সদস্যরা অবাধেই বিস্ফোরক নিয়ে প্রবেশ করতে পারে।
অপরদিকে, এই সমস্ত জলযান একাধিক জায়গায় অপেক্ষা করে। বিশেষ করে রাতের বেলা জলযানগুলোতে কারা যাতায়াত করছে তা জানা যায় না। পাড়ের গ্রামগুলো থেকে কারা যাতায়াত করছে তাও জানা যায় না। অভিযোগ উঠেছে, ছোট ছোট ডিঙি নৌকা নিয়ে একাধিক মানুষ সেই বাংলাদেশি জলযানের আশেপাশে যাতায়াত করে। মুম্বাই হামলার ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে এই ডিঙি নৌকার ব্যাপারে সচেতন হতে চাইছে নৌ কর্তৃপক্ষ।
সম্প্রতি ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ এবং নৌবাহিনীর পক্ষ থেকে একটি সমীক্ষা চালানো হয়েছিল। সমীক্ষা অনুযায়ী, সুন্দরবনের ১৩২ কিলোমিটার পথ সম্পূর্ণ অরক্ষিত অবস্থায় আছে। চলতি বছরের জানুয়ারি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি প্রতিনিধি দল সুন্দরবন পরিদর্শনে আসে। এমনকি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীও নিজে সুন্দরবন ঘুরে দেখেন। এই বিস্তীর্ণ সীমান্ত অরক্ষিত অবস্থায় পড়ে থাকায় চিন্তিত ভারতীয় নিরাপত্তা সংস্থা। তাই একাধিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
সমীক্ষা রিপোর্টে দেখা যায়, উত্তর ২৪ পরগনার শমশেরনগরে রয়েছে একটি বর্ডার আউটপোস্ট যার দেখাশোনা করে বিএসএফ। যদিও এই আউটপোস্ট মূলত ‘ল্যান্ড আউটপোস্ট’। এই এলাকা থেকে বঙ্গোপসাগর হয়ে যে নদীপথ রয়েছে সেখানে তিনটি ভাসমান আউটপোস্ট রয়েছে। এগুলোর মাধ্যমে নজরদারি চালায় বিএসএফ। একাধিক বাংলাদেশি জলযান প্রতিদিন এই পথ ধরেই ভারতে আসে। প্রথমে জলযানগুলো তল্লাশি করা হয় হেমনগর এলাকায়। তারপর নদীপথে সুন্দরবন হয়ে জলযানগুলো চলে যায় নামখানা বা কলকাতার দিকে। আগে তল্লাশি করা হতো নামখানায়। বিগত বছর থেকে সেই তল্লাশি হচ্ছে হেমনগরে। এর পরেওদেখা যাচ্ছে, বিস্তীর্ণ অংশ অরক্ষিত রয়েছে।
নৌবাহিনীর পক্ষ থেকে নির্দিষ্ট অভিযোগে বলা হচ্ছে, হেমনগরে কাগজপত্র তল্লাশি চালানো হলেও তাতে ফাঁক থেকে যাচ্ছে। কী রকম ফাঁক ? এক সেনা কর্মকর্তা জানান, জলযানে প্রতিটি কোণ পরীক্ষা করা হয় না। কাগজপত্র দেখা হয়। কিন্তু সত্যিই কী উদ্দেশ্যে এই জলযানের ভারতের জলপথে আসা তার উত্তর মেলে না। এ থেকে নৌবাহিনী আশঙ্কা করছে, কোনও জঙ্গি সংগঠনের সদস্যরা অবাধেই বিস্ফোরক নিয়ে প্রবেশ করতে পারে।
অপরদিকে, এই সমস্ত জলযান একাধিক জায়গায় অপেক্ষা করে। বিশেষ করে রাতের বেলা জলযানগুলোতে কারা যাতায়াত করছে তা জানা যায় না। পাড়ের গ্রামগুলো থেকে কারা যাতায়াত করছে তাও জানা যায় না। অভিযোগ উঠেছে, ছোট ছোট ডিঙি নৌকা নিয়ে একাধিক মানুষ সেই বাংলাদেশি জলযানের আশেপাশে যাতায়াত করে। মুম্বাই হামলার ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে এই ডিঙি নৌকার ব্যাপারে সচেতন হতে চাইছে নৌ কর্তৃপক্ষ।