Wednesday, September 3, 2014

কয়রার তের আউলিয়া জলমহল ইজারা বিষয়ে সিদ্ধান্তহীন প্রশাসন

জেলার কয়রা উপজেলার তের আউলিয়া খাল (বদ্ধ) জলমহাল ইজারা বিষয়ে সিদ্ধান্ত ছাড়াই সভা শেষ হয়েছে। চার দফা তদন্ত করা সত্বেও প্রভাবশালী মহলের চাপের কারনে প্রশাসন কোন সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি গত সাড়ে ৪ মাসেও। গতকাল মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত জেলা জলমহাল ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় পাটুলিয়া দশবাড়িয়া মৎস্যজীবী সমিতি লিঃ-এর বিরুদ্ধে সার্টিফিকেট মামলা থাকার বিষয়টি তোলা হয়।

তাছাড়া বিগত চারটি তদন্ত কমিটি তাদের প্রতিবেদনে মসজিদকুড় রূপালী মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি লিঃ-কে ইজারা দিতে যে সুপারিশ করেছে সে বিষয়টি তোলা হলে চাপের মুখে পড়ে প্রশাসন।

জেলা প্রশাসকের কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ইজারা বিজ্ঞপ্তির ১১ অনুচ্ছেদ মোতাবেক পাটুলিয়া দশবাড়িয়া মৎস্যজীবী সমিতি লিঃ-কে অযোগ্য বলে ঘোষণা করা হয় তদন্তে। পরবর্তীতে মসজিদকুড় রূপালী মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি লিঃ-কে ইজারা দিতে জেলা জলমহাল ব্যবস্থাপনা কমিটিকে সুপারিশ করেন।

সূত্রটি জানায়, শুধুমাত্র কয়রা উপজেলার তের আউলিয়া (বদ্ধ) জলমহলের ইজারা নিয়ে উচ্চ পর্যায়ে পৃথক তিনটি তদন্ত কমিটি হয়। প্রত্যেকটি তদন্ত প্রতিবেদনে প্রথম হওয়া দরদাতার বিরুদ্ধে সার্টিফিকেট মামলা থাকায় দ্বিতীয় দরদাতাকে ইজারা দেওয়ার সুপারিশ করা হয়। কিন্তু প্রভাবশালী মহলের চাপে পুনরায় ৪র্থ দফায় আরেকটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।

উক্ত কমিটি পূর্বতন কমিটির মতই মসজিদকুড় রূপালী মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি লিঃ-এর অনুকূলে গত ১৩ আগস্ট প্রতিবেদন দাখিল করেন। যার প্রেক্ষিতে গতকাল জেলা জলমহাল ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা আহ্বান করেন জেলা প্রশাসক। কিন্তু উক্ত সভায় প্রভাবশালী মহলের পছন্দনীয় সমিতিকে ইজারা দেয়ার জন্য দাবি করা হলে বিপাকে পড়ে এক পর্যায়ে সিদ্ধান্ত ছাড়াই শেষ হয়েছে সভা।