Wednesday, September 3, 2014

পাইকগাছায় একমি কোম্পানির মেডিকেল রিপ্রেজেন্টেটিভ মৃতদেহ উদ্ধার

মঙ্গলবার আনুমানিক সন্ধ্যা ৭টায় পাইকগাছা উপজেলার কপিলমুনির এক মৎস্য ঘের থেকে একমি কোম্পানির মেডিকেল রিপ্রেজেন্টেটিভ লিটন দাশ ওরফে কিনা (৩০) এর মৃতদেহ উদ্ধার করেছে এলাকাবাসী। আত্মহত্যা না হত্যা তা নিয়ে চলছে জল্পনা-কল্পনা। 

এলাকাবাসী ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, লিটন দাশ উপজেলার কপিলমুনি দিনমুজুর সুকুমার দাশের পুত্র। প্রায় ৪ বছর আগে বিবাহ হয় তার। বিবাহিত জীবনে তিনি দেড় বছর বয়সে এক কন্যা সন্তানের জনক। বিবাহ পরবর্তী সময় স্ত্রীর সাথে তার ছোট ভাই মায়ের ঝগড়া বিবাদ লেগেই থাকতো। তার স্ত্রী বর্তমানে কপিলমুনি সহচরী বিদ্যামন্দির স্কুল এন্ড কলেজে অস্থায়ীভাবে শিক্ষকতা করছেন।

ঘটনার দিন স্ত্রী, কন্যা ও লিটন দুপুরের খাবার এক সাথে খান। এরপর সন্তানকে বাবার কাছে রেখে লিটনের স্ত্রী স্কুলে চলে যান। বিকাল থেকে তার আর কোনো সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানান লিটনের স্ত্রী পার্বতী বনিক। লিটনের মেজ ভাই সুমন দাশ জানান, দাদা কাজে যাবার কথা বলে মেয়েকে আমার কাছে দিয়ে যায়।

লিটনের সহকর্মীরা নাছিরপুর গ্রামে কপিলমুনির ইউপি চেয়ারম্যান শাহাদাৎ হোসেন ডাবলুর মৎস্য ঘের সংলগ্ন এলাকা থেকে লিটনকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। চিকিৎসকরা প্রাথমিক ভাবে ধারণা করছেন কিটনাশক পানে তার মৃত্যু হয়েছে।

বুধবার সকালে থানা পুলিশ সুরতহাল রিপোট করে লাশ মর্গে পাঠান। মৃত্যুও সঠিক কারন পরিবারের লোকজন জানাতে পারেনি। এ রিপোট লেখা পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি। পারিবারিক কোলাহলের কারনে লিটন আত্মহত্যা করেছেন, নাকি এটি পরিকল্পিত হত্যার ঘটনা তা নিয়ে এলাকায় রহস্য ঘুরপাক খাছে।